বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম,
পরিশেষে আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক/শিক্ষিকাবৃন্দের, ছোট ভাই-বোন এবং আজকের এই অনুষ্ঠানের আয়োজকদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আমি আমার বক্তব্য এখানেই শেষ করছি।
আজকের এই Fresher Reception & Farewell Ceremony অনুষ্ঠান উপলক্ষে মঞ্চে উপস্থিত প্রধান অতিথি, সভাপতি এবং আমার শ্রদ্ধেয় সকল শিক্ষক ও আমার সামনে উপবিষ্ট সকল শিক্ষার্থীদের কে 14th batch এর পক্ষ থেকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং সালাম।
"তব বিদায়ের প্রান্তরে এসে দাঁড়াতে হয় মোরে বারে বারে" হ্যাঁ সত্যিই আজ এই বিদায় শব্দটি যেন আর কোন তিন অক্ষরের একটা শব্দ নয়, এ যেন বুকের উপর একটা পাহাড় চেপে পড়া, আজ সত্যিকারে বুঝতে পারছি বিদায় কি, আর অনুভব করতে পারতেছি এর গভীরতা, আজ এমন একটি দিন যেদিন জীবনের তাড়নায়, আর সামনে এগুনোর পথ প্রশস্ত করতে এ বিদায় নিতে হবে আমাদের।
চার বছর ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ আমাদেরকে বিভিন্ন বিষয় অত্যান্ত দক্ষতার সাথে পড়িয়েছেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে সাহায্য করেছেন তা আমরা কখনোই ভুলবো না। এজন্য আমরা আপনাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ।
ভালবাসার এত গুলো সৃতি আমি ভুলবো কেমন করে প্রিয় বন্ধু আর ছোট ভাইদের-বোনদের সাথে। তাহা সৃতির রঙ্গিন পিষ্ঠায় থেকে যাবে অমলিন।
আমি এখানে আজ আর কোন অভিযোগ তুলব না,তবে কিছু সম্ভাবনার অকাল প্রয়ানের কথা বলব যাতে করে শ্রদ্ধেয় স্যাররা কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভুমিকা রাখতে পারেন।
১. আমরা দ্বিধা হীন ভাবে সবাই স্বীকার করি যে শুধুমাত্র মেধাবিরাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই এক উজ্জল সম্ভাবনার স্বপ্ন নিয়ে। সময়ের সাথে সাথে একদিকে যেমন জ্ঞানে পরিপক্ক হয়ে উঠি,ঠিক তেমনি সময় বাড়ার সাথে সাথে হতাশায় নিভে যায় সম্ভাবনার প্রায় সবগুলো স্বপ্ন।
কিন্তু কেন এমনটা হয়। এটা অবশ্যই স্যারদের খুজে বের করা উচিৎ, তা না হলে একদিন তরুন সমাজ স্বপ্ন দেখাই ভুলে যাবে।
২. প্রতি কোর্সের ল্যাব ক্লাসগুলোকে আরো সময় উপযোগী আর সৃজনশীল করার উপায় খুজে বের করতে হবে। আমাদের অনেক স্বপ্ন আর সম্ভাবনা কিন্তু ল্যাবগুলোতেই মরে যায়। ল্যাবগুলো স্বপ্ন ভাংগার আতুর ঘর না হয়ে,হয়ে উঠুক স্বপ্ন বোনার আতুর ঘর।
আমরা তাই চাই।
৩. প্রতি সেমিষ্টারে ছাত্রদের সাথে একদিনের একটি মিট আপ সেশন করা যেতে পারে,যেখানে ছাত্ররা গত সেমিষ্টারের সমস্যাগুলোর কথা বলবে,আর ভালো করারা জন্য আগামি সেমিষ্টারে করনীয় কি বা ছাত্রদের চাহিদা কি,তারা কি চায়,এ সব বিষয়ে স্যারদের সাথে খোলামেলা কথা বলতে পারে,এবং স্যাররাও যেন জানতে পারে তাদের ছাত্রদের সমস্যাগুলো সম্পর্কে।
৪. যাই বলা হোক না কেন,চাকরির বাজারে কিন্তু সিজিপিএ একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। তাই ছাত্রদের সিজিপি খারাপ হওয়ার পিছনের কারন খুজে বের করতে হবে এবং এর সমাধান করতে হবে।
সেই সাথে শ্রদ্ধেয় সকল শিক্ষক এর নিকট 14th batch পক্ষ থেকে বিশেষ আবেদন, উনারা যেন বিদায়ী শিক্ষার্থীর জন্য জব ফেয়ার এর ব্যবস্থা করেন এবং সকল ব্যাস এর ক্লাস এ ক্লাস টপিকস এর বাইরেও বিভিন্ন বিষয় শিখতে বা জানতে অনুপ্রাণিত করেন।
আর কথা বাড়াতে চাই না,
আমাদের কোনো আচরণের যদি কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকা কষ্ট পেয়ে থাকেন বা ছোট কিংবা বড় কোনো ভুল করে থাকি তাহলে আমাদেরকে ক্ষমা সুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন।
সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকে আমি বিনীতভাবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এবং সেই সাথে ছোট ভাইদের বলবো তোমরা কখনো শিক্ষক/শিক্ষিকার উপর দোষ চাপাবে না যে স্যার রা কিছু শিখায় না , স্যারদের যে টপিকস টা ভালো লাগবে তা বিস্থারিত অনলাইন থেকে শিখে নিবে। পরিশেষে আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক/শিক্ষিকাবৃন্দের, ছোট ভাই-বোন এবং আজকের এই অনুষ্ঠানের আয়োজকদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আমি আমার বক্তব্য এখানেই শেষ করছি।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন